শিক্ষিত বা educated শব্দটির অর্থ হলো এমন একজন ব্যক্তি যে শিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং সাধারণত জ্ঞান এবং দক্ষতার ক্ষেত্রে উন্নত। এটি সাধারণত উচ্চতর শিক্ষা লাভের মাধ্যমে অর্জিত হয়, কিন্তু এটি জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকেও আসতে পারে। শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হন, যেমন কর্মক্ষেত্র, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক সম্পর্ক।
শিক্ষিত হওয়ার গুরুত্ব
শিক্ষিত হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যক্তির নিজস্ব উন্নয়ন এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষিত হওয়ার কিছু গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:
১. কর্মসংস্থান এবং আয়ের সুযোগ
শিক্ষিত ব্যক্তি সাধারণত কর্মক্ষেত্রে অধিক সুযোগ পায়। অধিক শিক্ষিত হলে, তাদের বেতনও সাধারণত বেশি হয়।
২. সামাজিক সচেতনতা
শিক্ষা একজনকে সমাজের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এটি তাদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরি করে।
৩. ব্যক্তিগত উন্নয়ন
শিক্ষা একজনের চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতাকে উন্নত করে।
৪. স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান
শিক্ষিত ব্যক্তিরা সাধারণত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে সচেতনতা বেশি থাকে।
শিক্ষিত হওয়ার উপায়
শিক্ষিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেমন:
- ফর্মাল শিক্ষা: স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা।
- ইনফরমাল শিক্ষা: বই পড়া, অনলাইন কোর্স করা এবং বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা।
- অভিজ্ঞতা: জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে শেখা।
শিক্ষা একজনের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তাকে জীবনে সফল হতে সাহায্য করে। তাই, শিক্ষিত হওয়া শুধু একটি শব্দ নয়, বরং এটি একটি জীবনযাত্রা।