Mumps কি ?

মাম্পস একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে ঘটে, তবে যে কোনো বয়সের ব্যক্তির মধ্যে এটি হতে পারে। এই রোগের মূল সংক্রমণ ঘটে মাম্পস ভাইরাসের মাধ্যমে, যা প্রধানত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। মাম্পসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, এবং মুখের এক বা উভয় পাশে থাকা খোঁচা (পারোটিড গ্রন্থির ফুলে ওঠা)।

মাম্পসের লক্ষণসমূহ

মাম্পসের লক্ষণগুলো সাধারণত ভাইরাসটির সংক্রমণের ২-৩ সপ্তাহ পরে দেখা দেয়। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  1. জ্বর – সাধারণত প্রথমে একটি হালকা জ্বর দেখা দেয়।
  2. মাথাব্যথা – মাথা ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ উপসর্গ।
  3. মুখের ফুলে ওঠা – পারোটিড গ্রন্থি (মুখের নিচের অংশে অবস্থিত) ফুলে ওঠে, যা মুখের দিক থেকে একটি বিশেষ উপসর্গ।
  4. পেশির ব্যথা – শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  5. ক্ষুধামন্দা – খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।

মাম্পসের কারণ ও সংক্রমণ

মাম্পস ভাইরাস সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। একজন সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি, ছেঁকা বা হাঁচির মাধ্যমে ভাইরাসটি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য কারোর শরীরে প্রবেশ করে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং সহজেই এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা

মাম্পসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো টিকাদান। মাম্পসের টিকা সাধারণত এমএমআর (মাম্পস, মিজলস, রুবেলা) টিকার অংশ হিসেবে দেওয়া হয়। এই টিকা শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর, এবং এটি রোগটির সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মাম্পসের চিকিৎসা

মাম্পসের জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণের ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সাধারণত বিশ্রাম, পর্যাপ্ত জলপান, এবং জ্বর বা ব্যথার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

মাম্পস একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, তবে সঠিক প্রতিরোধ এবং যত্নের মাধ্যমে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যদি আপনার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

Leave a Comment