salatul tasbih

সালাতুল তাসবীহ একটি বিশেষ ঐচ্ছিক নামাজ যা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান ইবাদাত হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আপনি যেকোনো সময় পড়তে পারেন, তবে এটি বিশেষত রাতের বেলা, রমজান মাসে, বা বিশেষ উপলক্ষে আদায় করা হয়।

নীচে সালাতুল তাসবীহের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি বিশদভাবে বর্ণনা করা হলো:

### সালাতুল তাসবীহ আদায়ের নিয়ম:
১. সালাতুল তাসবীহ ৪টি রাকাআত নিয়ে গঠিত, এবং এটি সুন্নাত বা নফল নামাজ হিসেবে পড়া হয়।

২. প্রাথমিক প্রস্তুতি: ওযু করুন এবং মনকে পবিত্র রাখুন।

৩. নিয়্যাত (উদ্দেশ্য): নিয়্যাত করুন যে আপনি ৪ রাকাআত সালাতুল তাসবীহ পড়বেন।

৪. তাকবীর: “আল্লাহু আকবার” বলে নামাজ শুরু করুন।

### রাকাআতের প্রত্যেক অংশে পড়া হবে:
সুরা ফাতিহা এবং অন্য কোনো সুরা বা আয়াত সংযুক্ত করুন আগে নির্ধারিত তাসবীহ “سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّـهِ وَلاَ إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ” ১৫বার পড়বেন।

### লোকাতের নির্দিষ্ট অংশে তাসবীহ পড়ার নিয়ম:
১. ক্বিয়াম অবস্থায় সুরা ফাতিহা ও অন্যান্য সুরা পড়ার পর: ১৫বার
২. রুকু এর মধ্যে: ১০বার
৩. রুকু থেকে উঠে দাঁড়ালে (সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা) : ১০বার
৪. সিজদা প্রথম: ১০বার
৫. সিজদা থেকে উঠার স্থান (জলসা) : ১০বার
৬. সিজদা দ্বিতীয়: ১০বার
৭. সিজদা থেকে উঠার পর: ১০বার

প্রত্যেক রাকাআতের শেষে একইভাবে তাসবীহ গুলি পুনরাবৃত্ত করুন। এভাবে, প্রতিদিন ৪ রাকাআতের শেষে মোট ৩০০বার তাসবীহ পাঠ করা হবে।

আল্লাহর পথে চলার জন্য সালাতুল তাসবীহ একটি মহান সুযোগ এবং ইবাদাত। নিয়মিতভাবে এ নামাজ পড়লে আল্লাহ নিজের দয়া ও বরকত দান করেন।

### অন্য কিছু দিকনির্দেশনা:
* সময় ও স্থান: সালাতুল তাসবীহ আদায়ের নির্দিষ্ট কোন সময় এবং স্থান নেই; তা আদায় করা যায় যেকোনো সময়।
* নিয়মিততা: প্রতি সপ্তাহে, মাসে কিংবা কোনো বিশেষ সময়ে এ নামাজ পাঠের অভ্যাস গড়ে তুললে তা আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য ভালো হবে।
* মনোযোগ: নামাজে সর্বাধিক মনোযোগ ও খুশু (ভক্তি) সহকারে পড়া উচিত।

সালাতুল তাসবীহের নিয়ম মেনে, সততার সাথে আল্লাহর তাসবীহ ও বাণী উচ্চারণ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ন এবং ফলপ্রসূ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এর পুরস্কার দান করুন। আমিন।