SGPT (Serum Glutamic Pyruvic Transaminase) হলো একটি রক্ত পরীক্ষা যা লিভারের স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতা নির্ধারণে সাহায্য করে। এই পরীক্ষাটি লিভারের কোষে উপস্থিত একটি এনজাইমের মাত্রা পরিমাপ করে। যখন লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই এনজাইম রক্তে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে SGPT এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
SGPT টেস্টের উদ্দেশ্য
SGPT টেস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো:
- লিভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা: লিভারের বিভিন্ন রোগ যেমন হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস ইত্যাদি নির্ধারণে সাহায্য করে।
- রোগের পর্যবেক্ষণ: পূর্ববর্তী লিভার রোগের চিকিৎসার পর লিভারের অবস্থার উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কিত তথ্য দেয়।
- অন্য রোগের সনাক্তকরণ: কিছু ক্ষেত্রে, SGPT এর বৃদ্ধির মাধ্যমে হৃদরোগ বা পেশী রোগেরও সংকেত পাওয়া যায়।
কিভাবে SGPT টেস্ট করা হয়?
SGPT টেস্ট করার প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ:
- রক্ত সংগ্রহ: চিকিৎসক আপনার হাত থেকে একটি ছোট পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ করেন।
- ল্যাব বিশ্লেষণ: সংগ্রহ করা রক্ত একটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় যেখানে SGPT এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
SGPT টেস্টের স্বাভাবিক মাত্রা
SGPT এর স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত পুরুষদের জন্য 7-56 IU/L এবং মহিলাদের জন্য 7-48 IU/L এর মধ্যে থাকে। তবে, এই মাত্রা ল্যাবের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে।
SGPT বৃদ্ধির কারণসমূহ
SGPT এর উচ্চ মাত্রা বিভিন্ন কারণে হতে পারে:
- লিভার রোগ: হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ইত্যাদি।
- অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
- মেদবহুল রোগ: স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের কারণে লিভারের সমস্যা হতে পারে।
- কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, স্ট্যাটিন ইত্যাদি লিভারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
SGPT টেস্টের গুরুত্ব
SGPT টেস্ট লিভারের স্বাস্থ্য নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন রোগী তাদের লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে পারে।
সতর্কতা এবং পরামর্শ
- ডায়েট: টেস্টের আগে সঠিক ডায়েট মেনে চলা উচিত।
- চিকিৎসকের পরামর্শ: পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসকের পরামর্শমত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
SGPT টেস্ট স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।