Smog অর্থ কি ?

স্মগ (Smog) একটি পরিবেশগত সমস্যা যা মূলত বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর পদার্থের মিশ্রণে তৈরি হয়। এটি মূলত ধোঁয়া এবং কুয়াশার সমন্বয়ে গঠিত, যা বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্টি হয়। স্মগ সাধারণত শহুরে এলাকায় বেশি দেখা যায়, যেখানে যানবাহন এবং শিল্পকারখানার নির্গমন বায়ুতে মিশে যায়।

স্মগের প্রকারভেদ

স্মগের প্রধানত দুইটি প্রকার রয়েছে:

  1. ক্লাসিক্যাল স্মগ: এটি সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘটতে দেখা যায় এবং এতে প্রধানত ধোঁয়া, কুয়াশা এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থের মিশ্রণ থাকে। এটি সাধারণত কয়লার জ্বালানির কারণে ঘটে।

  2. ফটোকেমিক্যাল স্মগ: এটি উষ্ণ আবহাওয়ায় ঘটে এবং সূর্যের UV রশ্মির উপস্থিতিতে নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং ভলেটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ডের বিক্রিয়া ঘটলে তৈরি হয়। এটি সাধারণত যানবাহনের নির্গমন থেকে উৎপন্ন হয়।

স্মগের প্রভাব

স্মগের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে, যেমন:

  • স্বাস্থ্য সমস্যা: স্মগের কারণে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
  • পরিবেশগত প্রভাব: এটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • দৃশ্যমানতা হ্রাস: স্মগের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যায়, যা সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।

স্মগের প্রতিকার

স্মগের সমস্যার সমাধানে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ: পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করা এবং বিদ্যুত চালিত যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  • শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ: শিল্পকারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা।
  • গাছপালা রোপণ: গাছপালা রোপণ করে বায়ুর মান উন্নত করা।

স্মগ একটি গুরুতর সমস্যা যা আমাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের এটি মোকাবেলা করার জন্য সচেতন হতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Comment