Tide অর্থ কি ?

Tide শব্দটির অর্থ হলো “জোয়ার” বা “ভাটা”। এটি সাধারণত সমুদ্রের পানি স্তরের পরিবর্তন নির্দেশ করে, যা চাঁদের আকর্ষণ এবং অন্যান্য ফলনশীল প্রভাবের কারণে ঘটে। জোয়ার এবং ভাটা সাধারণত প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর ঘটে এবং এটি সমুদ্রের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবর্তিত হতে পারে।

Tide এর প্রকারভেদ

জোয়ার এবং ভাটা প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে:

  1. Spring Tide: যখন চাঁদ এবং সূর্য এক সরলরেখায় থাকে, তখন পানির স্তর অধিক উঁচু হয়, এটি স্প্রিং টাইড বলে পরিচিত।

  2. Neap Tide: যখন চাঁদ এবং সূর্য ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে, তখন পানির স্তর কম হয়, এই অবস্থাকে নিপ টাইড বলা হয়।

Tide এর গুরুত্ব

জোয়ার এবং ভাটার প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:

  • মৎস্য শিকার: মৎস্য ধরার জন্য জোয়ারের সময় মাছেরা সাধারণত বেশি সক্রিয় থাকে।

  • নৌযান চলাচল: জোয়ারের উচ্চতা নৌযান চলাচলে সহজতা বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

  • জলবায়ু পরিবর্তন: সমুদ্রের জোয়ারের পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

Tide সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য

  • বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে: বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের উচ্চতা এবং সময় ভিন্ন হতে পারে, যেমন ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথে এটি ৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

  • জোয়ারের প্রভাব: প্রাণীকূল এবং উদ্ভিদজগতে জোয়ারের প্রভাব অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে।

  • জোয়ারের পূর্বাভাস: বিজ্ঞানীরা জোয়ারের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়েছেন, যা নৌযান এবং মৎস্য শিকারিদের জন্য সহায়ক।

উপসংহার

Tide শব্দটি শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, বরং এটি পরিবেশ এবং মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।

Leave a Comment