Total ige কি ?

টোটাল IgE: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

টোটাল IgE (Immunoglobulin E) হল শরীরে একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি যা প্রধানত অ্যালার্জি এবং পরজীবী সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গঠনে ভূমিকা রাখে। যখন শরীর কোনও অ্যালার্জেনের সাথে সংস্পর্শে আসে, তখন এটি IgE তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডিগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, ত্বকের সমস্যাসহ বিভিন্ন অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

টোটাল IgE-এর গুরুত্ব

  • অ্যালার্জি নির্ণয়: টোটাল IgE পরীক্ষাটি বিশেষ করে অ্যালার্জির উপস্থিতি নির্ধারণে সহায়ক। যদি IgE-এর স্তর বেশি হয়, তবে এটি নির্দেশ করে যে শরীর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

  • পরজীবী সংক্রমণ: IgE স্তরের বৃদ্ধি পরজীবী সংক্রমণের ইঙ্গিতও দিতে পারে।

  • শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া: এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে।

টোটাল IgE পরীক্ষার প্রক্রিয়া

টোটাল IgE পরীক্ষা সাধারণত একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। চিকিৎসক রক্তের একটি নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করে IgE-এর স্তর নির্ধারণ করেন।

টোটাল IgE স্তরের স্বাভাবিক মান

স্বাভাবিক IgE স্তরের মান ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এটি 0 থেকে 100 IU/mL-এর মধ্যে থাকে।

উচ্চ টোটাল IgE-এর কারণসমূহ

  • অ্যালার্জি (যেমন: পলিন, গাছের ফুল, খাদ্য)
  • পরজীবী সংক্রমণ (যেমন: ফাঁক বা কৃমি)
  • কিছু নির্দিষ্ট রোগ (যেমন: অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, অ্যাস্থমা)

নিম্ন টোটাল IgE-এর কারণসমূহ

নিম্ন IgE স্তর সাধারণত গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতা অথবা অন্যান্য রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।

উপসংহার

টোটাল IgE শরীরের অ্যালার্জি এবং পরজীবী সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগীর অ্যালার্জির উপস্থিতি নির্ধারণ করতে সহায়তা করতে পারেন। যদি আপনার মনে হয় যে আপনি অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলা উচিত।

Leave a Comment