বর্তমানে আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মাসগুলি চাঁদকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়। এই ক্যালেন্ডারটি ইসলামিক ক্যালেন্ডার হিসেবেও পরিচিত। আরবি মাসগুলো ১২টি এবং এর প্রতিটি মাসের দৈর্ঘ্য ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে। বর্তমানে আপনি যদি জানতে চান কোন আরবি মাস চলছে, তবে এটি নির্ভর করবে বর্তমান তারিখের উপর।
আরবি মাসের নামগুলি হলো:
- Muharram (মহররম)
- Safar (সফর)
- Rabi’ al-Awwal (রবিউল আউয়াল)
- Rabi’ al-Thani (রবিউল থানি)
- Jumada al-Awwal (জুমাদা উল আউয়াল)
- Jumada al-Thani (জুমাদা উল থানি)
- Rajab (রাজব)
- Sha’ban (শাবান)
- Ramadan (রমজান)
- Shawwal (শাওয়াল)
- Dhu al-Qi’dah (জূল কায়দাহ)
- Dhu al-Hijjah (জূল হিজ্জাহ)
বর্তমান মাসটি জানার জন্য আপনার স্থানীয় চাঁদের অবস্থান এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে তারিখ দেখে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আজ ১লা রবিউল আউয়াল হয়, তাহলে সেই মাসটি চলছে।
আরবি মাসের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং তাদের ধর্মীয় গুরুত্ব সম্পর্কে জানার জন্য নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ:
ইসলামিক ক্যালেন্ডারের মাসগুলোর গুরুত্ব
ইসলামিক ক্যালেন্ডার মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবগুলোর সময় নির্ধারণ করে। যেমন, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য রোজা রাখার মাস, যেখানে তারা সারা মাস ধরে উপবাস পালন করে। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার সময়ও এই ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করে।
মাসের পরিবর্তন এবং চাঁদের পর্যবেক্ষণ
আরবি মাসগুলি চাঁদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। প্রতি মাসের প্রথম দিন চাঁদের নতুন অবস্থার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। এটি একটি প্রাচীন প্রথা, যা মুসলমানদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাসের নামের অর্থ
প্রতি আরবি মাসের একটি বিশেষ অর্থ আছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘রমজান’ শব্দটি আরবি ‘রামদ’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘তাপ’ বা ‘গরম’, যা এই মাসের কঠোর উপবাসের সময়ের সাথে সম্পর্কিত।
স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যও ইসলামিক মাসগুলোর উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দেশে কীভাবে এই মাসগুলো উদযাপন করা হয়, তা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
আপনি যদি জানতে চান বর্তমানে কোন আরবি মাস চলছে, তবে স্থানীয় ইসলামী ক্যালেন্ডার বা চাঁদের অবস্থান দেখে তা নিশ্চিত করতে পারবেন।