সূরা ইখলাস আরবিসহ বাংলা উচ্চারণ

সূরা ইখলাস, যা কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা হিসেবে পরিচিত, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সংক্ষিপ্ত হলেও এর অর্থ ও শিক্ষা অত্যন্ত গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সূরাটি মূলত আল্লাহর একত্ব এবং তাঁর গুণাবলীর ওপর আলোকপাত করে।

সূরা ইখলাসের আরবি পাঠ:

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
اللَّهُ الصَّمَدُ
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

বাংলা উচ্চারণ:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ
আল্লাহুস সমাদ
লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ
ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

সূরাটির অর্থ ও তাৎপর্য:

  1. আল্লাহর একত্ব (তাওহীদ):
  2. “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ “বল, তিনি আল্লাহ, এক”। এই আয়াতটি আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেয়। এটি মুসলিমদের বিশ্বাসের মূল স্তম্ভ যা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে।

  3. আল্লাহর নির্ভরশীলতা:

  4. “আল্লাহুস সমাদ” অর্থাৎ “আল্লাহ হলেন সর্বময় নির্ভরশীল”। আল্লাহ কারো উপর নির্ভরশীল নন, বরং সকল সৃষ্টি তাঁর উপর নির্ভরশীল।

  5. আল্লাহর অতুলনীয়তা:

  6. “লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ” অর্থাৎ “তিনি জন্ম দেননি এবং জন্মগ্রহণ করেননি”। আল্লাহর কোন সন্তান নেই, এবং তিনি নিজেও কারো সন্তান নন। এটি আল্লাহর অতুলনীয়তা ও বিশেষত্ব নির্দেশ করে।

  7. আল্লাহর অনন্যতা:

  8. “ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ” অর্থাৎ “আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”। আল্লাহর মতো আর কেউ নেই, তিনি সম্পূর্ণ অনন্য।

সূরা ইখলাসের ফজিলত:

সূরা ইখলাসের অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, এই সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। এটি পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, এটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং জান্নাতের জন্য পথ সুগম হয়।

উপসংহার:

সূরা ইখলাস একটি ছোট সূরা হলেও এর মধ্যে আল্লাহর একত্ব, অতুলনীয়তা এবং অনন্যতার গভীর বার্তা রয়েছে। এটি মুসলিমদের বিশ্বাসের একটি শক্ত ভিত্তি এবং প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা জোরদার করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিনের ইবাদাতে এই সূরাটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

Leave a Comment