isme azam dua

ইসমে আযম বা ইসমে আজম (اسم اعظم) একটি ইসলামী ধারণা, যা আরবি ভাষায় "সবচেয়ে মহান নাম" বোঝায়। ইসলামের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এটি আল্লাহর এমন একটি পবিত্র নাম যা উচ্চারণ করলে যে কোনো বৈধ দোয়া কবুল হয়। এটি একটি বিশেষ নাম বা সংকলন হতে পারে যা আল্লাহর গুণাবলীর চূড়ান্ত প্রকাশ করে।

ইসলামী গ্রন্থে উল্লেখ

ইসমে আযম সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস ও ইসলামী গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে, এই নাম নির্দিষ্ট করেননি নবী মুহাম্মদ (সা.)। বিভিন্ন বিদ্বানগণ বিভিন্ন নামকে ইসমে আযাম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিছু হাদিসে নিম্নলিখিত নামগুলোকে ইসমে আযম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে:

  • الحي القيوم (আল-হাই আল-কাইয়ুম): জীবন ও অস্তিত্বের ধারক।
  • الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ (আর-রহমান আর-রহীম): পরম দয়ালু, অসীম করুণাময়।

তাসবীহ ও দোয়া

ইসমে আযমের তাসবীহ বা আয়াত উপস্থাপন করে যথাযথ দোয়া করা হলে আল্লাহ তা কবুল করেন বলে ইসলামী বিশ্বাস। দোয়া করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি পালন করা উত্তম:

  1. নিষ্ঠা ও ঈমান: আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস।
  2. তাওবা: পাপ থেকে পরিত্রাণ ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
  3. সঠিক সময় ও পরিস্থিতি: পবিত্র স্থানে, নামাজের পরে বা রাত্রির শেষ প্রহরে দোয়া করা।

উদাহরণসমূহ

ইসমে আযম থেকে প্রাপ্ত কয়েকটি দোয়া নিম্নরূপ হতে পারে:

  • "ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম, বিরাহমাতিকা আসতাগীস" (হে পরম জীবনদানকারী, হে অস্তিত্বের ধারক, আপনার করুণার জন্য আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি)।
  • "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদ, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, ওয়াহ্দাকা লা শারীকালাক" (হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, সকল প্রশংসা আপনার জন্য, আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আপনি একক, আপনার কোনো শরীক নেই)।

সন্তানদের শিক্ষা

ইসমে আযমের দোয়াগুলা শিক্ষার্থীদের পড়ানো এবং শিশুদের মধ্যে এর গুরুত্ব তুলে ধরা একটি ভালো অভ্যাস।

সামগ্রিক দৃষ্টিতে, ইসমে আযম ইসলামিক বিশ্বাস ও প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মুসলমানদের দোয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পথ হিসেবে বিবেচিত।