shab e barat namaz

শবে বরাত ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাত এবং ১৫ তারিখ দিবাগত রাত পালন করা হয়। এই রাতকে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্বের সাথে পালন করে, কারণ এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য গুনাহ মাফ করেন এবং তাদের যা কিছু চাওয়া হয় তা পূরণ করেন।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের রাতে অনেকেই বিশেষ নামাজ আদায় করেন, তবে কোরান ও সহিহ হাদিসে এর নির্দিষ্ট কোন বিধান নেই। তবুও ইসলামিক স্কলারদের মতে এ রাতে কিছু নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে।

সাধারণত অনুসৃত নিয়ম:

1. নফল নামাজ: শবে বরাতের রাতে একাধিক রাকাআত নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। সাধারণত দুই রাকাআত করে নামাজ পড়া হয়। প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর যে কোনো সূরা পাঠ করা হয়।

2. তাহাজ্জুদ নামাজ: শবে বরাতের রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা অত্যন্ত মহৎ। তাহাজ্জুদের নির্দিষ্ট রাকাআত সংখ্যা নেই, তবে সাধারণত ৮ রাকাআত পড়া হয়।

3. তেখাচ্চা (উজু) করে নামাজ: এই রাতে পাক পবিত্র অবস্থায় থাকা এবং সারা রাত জেগে ইবাদত করা অত্যন্ত পূণ্যের কাজ।

4. দু’আ ও ঈস্তেগফার: এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া করা উত্তম। বিশেষ করে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ এবং অন্যান্য দোয়া ও যিকর বেশী করে করা উচিত।

দোয়া ও যিকর

আপনি কোরান তেলাওয়াত, তসবীহ, তাহলিল, তামজীদ এবং তাওবাহ ইস্তেগফার করতে পারেন। এটি আল্লাহর নেয়ামত ও রহমত লাভের রাত, তাই আপনার সকল গুনাহের জন্য তাওবাহ করুন।

প্রসঙ্গত: যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট সমস্যা বা চাহিদা থাকে, সেগুলো আল্লাহ তাআলার কাছে তুলে ধরুন এবং তাঁর থেকে সাহায্য প্রার্থনা করুন।

মিলাদ ও কুরআন খানি

অনেক সম্প্রদায়ে শবে বরাতের রাতে মিলাদ মাহফিল, কুরআন খানি, নফল নামাজ এবং দু’আর আয়োজন করা হয়ে থাকে। যদিও এসব কিছু নির্দিষ্ট বিধান নয় কিন্তু পারস্পরিক মেলামেশা ও ভাল কাজের জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তবে সবকিছুতেই খেয়াল রাখতে হবে যে শবে বরাতের সাথে সম্পর্কিত ভুল-ভ্রান্তি ও ভিত্তিহীন কাহিনী থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সহি ইসলামী শিক্ষা ও নির্দেশনা মেনে ইবাদত করতে হবে।