কোলেস্টেরল কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হল:
১. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ:
– ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ওটস, বাদাম, শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খান। ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
– ফল ও শাকসবজি: প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ফল এবং শাকসবজি খান। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
– মাছ: স্যালমন, ম্যাকারেল, ট্রাউট ও অন্য চর্বিযুক্ত মাছ মাঝেমধ্যে খান। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
২. স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস:
– অভ্রের তেল: অলিভ অয়েল এবং রেপসিড তেল ব্যবহার করুন। এগুলো সহায়ক।
– বাদাম এবং বীজ: আখরোট, চিয়া সিড, এবং ফ্ল্যাক্স সিড স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস।
৩. জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
– কাঁটা দানাদার শস্য: প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কম খাওয়া এবং কাঁটা দানাদার শস্য বেশি খাওয়া হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
– নিয়মিত ব্যায়াম: রোজ ৩০ মিনিটের মৃদু ব্যায়াম যেমন হাঁটা বা সাইকেল চালানো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৪. পরিমিত মদ্যপান:
– মদ্যপান: যদি আপনার মদের অভ্যাস থাকে, তবে সেটা পরিমিত পরিমাণে খান। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, কম পরিমাণে মদ্যপান কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু বেশি মদ্যপানে ক্ষতি হতে পারে।
৫. স্ট্রেস কমানো:
– স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন বা গভীর শ্বাসের প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন। স্ট্রেসের কারণে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।
৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা:
– স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত কোলেস্টেরল স্তর পরীক্ষা করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারেন। তবে, যদি আপনার কোলেস্টেরল স্তর অনেক বেশি হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।